কেউ বলেন ৮ রাকাত আবার কারো মতে ২০ রাকাত। এখন কোন মতটি গ্রহণযোগ্য। এই নিয়ে সাধারণ মানুষ পরে যান বিপদে। তাই চলুন জেনে নেই তারাবীর নামাজ আসলে কি এবং এই নামাজ কত রাকাত ?
প্রথমত তারাবীর নামাজ কি সুন্নাত নাকি নফল? তারাবীর নামাজ বেশির ভাগ ওলামায়ে কেরামদের মতে এটি নফল।
এখন তারাবীর নামাজের ৮ রাকাত এর স্বপক্ষের দলিল গুলো কি তা প্রথমে বিশ্লেষণ করি।
1- আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন , রমজানে রাসুল (সাঃ) এর নামাজ কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন , রাসুল (সাঃ) রমজানে ও অন্যান্য মাসে বিতির সহ এগার রাকআতের বশী পড়তেন না।
(বুখারি শরীফ ১১৪৭)
2- ইয়াহইয়া ইবনে আবু সালামা (রঃ) বলেন আমি রাসুল (সঃ) এর রাত্রী কালীন নামাজ সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম । উত্তরে তিনি বললেন, রাসুল(সঃ) রাত্রে তের রাকআত নামাজ আদায় করতেন । প্রথমে আট রাকাত পড়তেন , এর পর বিতির পড়তেন, তার পর দুই রাকত নামাজ বসে আদায় করতেন । ( মুসলিম শরীফ ১৭২৪)
অর্থাৎ নবীজি ৮ রাকাতের বেশি তারাবীর নামাজ পরতেন ।
এবার ২০ রাকাতের স্বপক্ষের দলিল গুলো কি তা বিশ্লেষণ করি।
1 - হযরত ইয়াহইয়া বিন সাঈদ থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় ওমর বিন খাত্তাব রাঃ এক ব্যক্তিকে বিশ রাকাত পড়ার হুকুম দিলেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা-৫/২২৩)
2- হযরত সায়েব বলেনঃ হযরত ওমর রাঃ এর সময়কালে বিশ রাকাত তারাবীহ ছিল। (ফাতহুল বারী-৪/৪৩৬)
3- হযরত সায়েব বিন ইয়াজিদ রাঃ বলেনঃ আমরা হযরত ওমর রাঃ এর শাসনামলে বিশ রাকাত তারাবীহ ও বিতির পড়তাম। (সুনানে সুগরা লিল বায়হাকী - ৮৩৩)
অতএব, তারাবীর নামাজ নফল ইবাদাত। যে যতরাকাত পড়তে মন চায় সে ততরাকাত পড়তে পারেন। আর মসজিদে নববীতে যেই জন্য তারাবীর নামাজ ২০ রাকাত হয় তার মুল কারন হজরত ওমর (রা:) এই নামাজ চালু করেছিলেন।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
শেয়ার করে অন্যদের জানাতে ভুলবেন না ।