তবে ইমাম শাফেঈর মতে যদি ইমাম নিরব তিলাওয়াত করে তবে ফাতিহা সূরা পড়ার জন্য উৎসাহীত এবং ইমাম যখন আওয়াজ করে তিলাওয়াত করে তবে কোন কিছু না পড়ার জন্য বলা হয়েছে ।
চলুন কথা না বাড়িয়ে তাহলে জেনে নেই এই সম্পর্কে হাদিসে কি উল্লেখ আছে,
উবাদা বিন সামেত রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, সূরা ফাতিহা না পড়লে নামায হবে না। (বুখারী, হাদীস নং-৭৫৬)
উবাদা বিন সামেত রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, সূরা ফাতিহা না পড়লে নামায হবে না।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৩৯৪)
হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসুল (সঃ) এরশাদ করেছেন- ‘যে ব্যক্তি ছলাত আদায় করল,যার মধ্যে সুরায়ে ফাতিহা পাঠ করল না, তার ঐ ছলাত বিকলাঙ্গ বিকলাঙ্গ বিকলাঙ্গ, অপূর্ণাঙ্গ। হযরত আবু হুরায়রা(রাঃ)-কে বলা হ’ল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি, তখন কিভাবে পড়ব ? তিনি বললেন, ‘তুমি ওটা ছলাতে চুপে চুপে পড়’- ।
(মুসলিম হাদিস নং - ৭৭৬, আবুদাউদ হাদিস নং - ৮২১, মিশকাত হাদিস নং - ৮২৩)
অর্থাৎ ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়তেই হবে । তবে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে বলেন ,
وَ اِذَا قُرِیٴَ الۡقُرۡاٰنُ فَاسۡتَمِعُوۡا لَہٗ وَ اَنۡصِتُوۡا لَعَلَّکُمۡ تُرۡحَمُوۡنَ ﴿۲۰۴﴾
ওয়া ইযা-কুরিয়াল কুরআ-নুফাছতামি‘ঊ লাহূওয়া আনসিতূলা‘আল্লাকুম তুরহামূন।
অর্থ: যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগের সাথে তা শ্রবণ করবে এবং নীরব নিশ্চুপ হয়ে থাকবে, হয়তো তোমাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শন করা হবে।
(সূরা আরাফ - ২০৪)
সবচেয়ে উত্তম মত হচ্ছে এই হ্মেত্রে যে ইমাম যখন জেহরী কিরাত পড়ে অর্থাৎ যখন আওয়াজ করে তিলাওয়াত করে তখন চুপ থাকা। আর যখন সের্রী কিরাত পড়ে অর্থাৎ যখন নিরবে তিলাওয়াত করে তখন সূরা ফাতিহা পাঠ করা।
তবে কেউ চাইলে ইমাম নিবরে বা আওয়াজে যেই ভাবেই কিরাত পাঠ করুক সে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে পারবে। কিন্তু সূরা ফাতিহা পাঠ করা উচিত।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ।
শেয়ার করে অন্যদের জানাতে ভুলবেন না।