জেনে নিন : অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে কি ?

আমাদের অনেকেই কোরআন স্পর্শ করি না অজু ছাড়া । আবার অনেকেই অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করি। আলেমদের মধ্যে কেউ বলেছেন অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা যাবে। আবার কেউ বলেছেন যাবে না।

তবে আসলে কি। অজু ছাড়া কি কোরআন স্পর্শ করা যাবে ?

আসুন কোরআন হাদিসের আলোকে বিশ্লষণ করি। যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ ঐটি স্পর্শ করতে পারে না।” (৫৬:৭৭-৭৯)
এখানে যে কুরআনের কথা বলা হয়েছে তা পৃথিবীর কুরআন নয়, এটা লাওহে মাহফুজে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যেই কুরআন সংরক্ষণ করে রেখেছেন সেই কুরআন। আর পাক-পবিত্র বলতে ফেরেস্তাদেরই বুঝানো হয়েছে।
তবে হাদিসে আছে,  عن أبيه عن جده قال: كان في كتاب النبي لعمرو بن حزم : لا يمس القرآن إلا طاهر আব্দুল্লাহ বিন আবি বকর(রা) বলেন, আমর বিন হাযম (রা) এর কাছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাঠানো চিঠিতে এ কথা লিপিবদ্ধ ছিল, পবিত্র না হয়ে কেউ যেন কোরআন স্পর্শ না করে। মুয়াত্তায় মালিক, মুসান্নাফে আব্দির রাযযাক,  মুসতাদরকে হাকিম।
الله عليه وسلم لا يمس القرآن إلا طاهر আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পবিত্র ব্যক্তি ব্যতিত কেউ যেন কোরআন স্পর্শ না করে। সুনানে দারাকুতনি।
ওবে এর বিপরীতে অনেক হাদিস আছে, যেমন
“ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। একদা রাসূল (সা.) শৌচাগার হতে বের হয়ে আসলে তাঁর সামনে খাবার উপস্থিত করা হল। তখন লোকেরা বলল, আমরা কি আপনার জন্যে অজুর পানি আনব না? তিনি বললেন, যখন নামাজের প্রস্তুতি নিব শুধু তখন অজু করার জন্যে আমি আদিষ্ট হয়েছি।” (তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী)
“আলী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) পায়খানা হতে বের হয়ে বিনা অজুতে আমাদের কুরআন পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশত খেতেন। তাঁকে কুরআন হতে বাধা দিতে পারত না বা বিরত রাখত না জানাবাত (গোসল ফরজ) ব্যতীত অন্য কিছু।”
(আবু দাউদ, নাছায়ী ও ইবনে মাজাহ)

তবে উত্তম হচ্ছে ওজু করে কোরআন স্পর্শ করা । কারন কোরআন মাজীদ পবিত্র কিতাব। এই কিতাবের মর্যাদা করা আমাদের উচিত।আশাকরি উত্তর বুঝতে পেরেছেন।
শেয়ার করে অন্যদের জানাতে ভুলবেন না।