জেনে নিন : ইল্লাল্লাহ জিকির কি জায়েজ ?

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে আমাদেরকে তার জিকির করতে বলেছেন। তবে সেই জিকির হতে হবে কোরআন সম্মত।হাদিসে নবী করিম (স:) আমাদের জিকির সম্পর্কে জানিয়েছেন।

উল্লিখিত কিছু হাদিস গুলো হলো :

1 - সামুরা বিন জুনদব থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন: আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কথা চারটি : সুবহানাল্লাহ, আলহাম্‌দু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবর, যে কোন একটি দ্বারাই আরম্ভব করা যেতে পারে। [মুসলিম:৩৯৮৫]

2-  আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন: যে সকাল এবং বিকালে সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহী একশত বার বলবে, যে এ-রকম বা এর অতিরিক্ত বলবে, কিয়ামত দিবসে এর চেয়ে উত্তম কেউ কিছু আনয়ন করতে পারবে না। [মুসলিম:৪৮৫৮]

3- আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিপদের সময় বলতেন: আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, যিনি সুমহান, সহিষ্ণুবান, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই যিনি মহান আরশের রব, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই যিনি আকাশসমূহের রব, এবং ভূমির রব এবং সম্মানিত আরশের রব। [মুসলিম:৪৯০৯] 

4- আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রা: থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন: যে কিতাবুল্লাহর একটি অক্ষর পড়ল তার জন্য এর বিনিময়ে একটি নেকি অবধারিত। এবং তাকে একটি নেকির দশ গুণ ছাওয়াব প্রদান করা হবে। আমি বলছি না আলিফ লাম মীম একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, এবং লাম একটি অক্ষর, এবং মীম একটি অক্ষর।[তিরমিজি:২৭৩৫]

তবে আমরা নবীজির একটি হাদিসেও পাইনা যে নবীজি ইল্লাল্লাহ জিকির করেছেন। কোন সাহাবী বা তাবাঈন গনও এই ধরনের জিকির করেন নি।

সুধু ইল্লাল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ্ ছাড়া। লা ইলাহা ইল্লালাহকে ভেঙ্গে এই ধরনের জিকির করলে অবশ্যই কবিরা গুনাহ হবে

সুতরাং আমাদের এই ধরনের জিকির না করাই উচিত ।

শেয়ার করে অন্যদের জানাতে ভুলবেন না।