জেনে নিন : লাইলাতুল কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং এই রাতের ফজিলত ?



ইসলামের মত এতো সুন্দর ধর্ম পৃথিবীতে আর একটি ধর্ম ও নেই। হবেই বা কি করে পৃথিবীর সকল ধর্ম মিথ্যা সুধুমাত্র ইসলাম ছাড়া । ইসলামের সৌন্দর্য যদি জানাতে চান কুরআন এর তাফসীর পড়ুন। আর এই পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছিল এক মহিমান্বিত রাতে। সেই রাতঁটি হচ্ছে লাইলাতুল কদরের রাতঁ ।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেন;

নিশ্চয়ই আমি নাযিল করেছি এ কুরআন মহিমান্বিত রাত্রিতে। আর আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রাত্রি কী? মহিমান্বিত রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সেই রাত্রে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ এবং রূহ তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে অবতীর্ণ হয়। সেই রাত্রি শান্তিই শান্তি, ফজর হওয়া পর্যন্ত।” (আল-কাদ্‌র ১-৫)
এই সম্পর্কে হাদিসে উল্লিখিত এই যে;

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, যদি কেউ ঈমানের সঙ্গে সাওয়াব লাভের খাঁটি নিয়তে লাইলাতুল কদর কিয়ামুল্লাইল বা তাহাজ্জুদে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারি, হাদিস নং : ৬৭২)।

লাইলাতুল কদর কোন রাতে এই সম্পর্কে হাদিসে উল্লিখিত এই যে;


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমযানের শেষের সাত রাত্রে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়। (এ শুনে) আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধান প্রত্যাশী, সে যেন শেষ সাত রাতে সন্ধান করে। (বুখারি,হাদিস নং: ২০১৫)
একদা হযরত উবায়দা (রা.) নবী করীম (সা.) কে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তখন নবীজী সেই সাহাবিকে বললেন রমজানের বেজোড় শেষের দশ দিনের রাতগুলোকে তালাশ করো। (বুখারি, হাদিস নং: ২০১৭)
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)

অতএব সকল হাদিস বিশ্লেষণ  করলে বুুঝা যায় লাইলাতুল কদর হচ্ছে রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে খুজতে হবে।

এখন লাইলাতুল কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় ? এই সংক্রান্ত হাদিসে কোন কিছু উল্লেখ নেই। অর্থাৎ বিশেষ কোন নিয়ম কোথাও পাওয়া যায় না ।

মাগরিব হতে ফজর পর্যন্ত এর সময় । রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়াও এর অন্তর্ভুক্ত । অর্থাৎ এই রাতের সকল ইবাদাত কদরের অন্তর্ভুক্ত । বিশেষ করে এই রাতে তাহাজ্জুদের নামাজকে গুরুত্বপূর্ণ ।

এই রাতের জন্য রাসূল (স:) একটি দোয়া শিখিয়েছেন । এই সম্পর্কে হাদিসে উল্লিখিত এই যে;

আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালো বাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

আশাকরি বুঝতে পেরেছেন ।

শেয়ার করে অন্যদের জানাতে ভুলবেন না ।